চট্টগ্রামে যাতায়াতের জন্য নৌকা কিনলেন সরকারী কর্মীরা

প্রকাশঃ জুলাই ২৫, ২০১৭ সময়ঃ ১২:২৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২৭ অপরাহ্ণ

নগরের আগ্রাবাদে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেওয়ায় একটি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য নৌকা কেনা হয়েছে। সেই নৌকা এখন ওই দপ্তরে যাতায়াতের অন্যতম নিরাপদ বাহন হয়ে উঠেছে। আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকার আরও কয়েকটি বাড়ির লোকজন যাতায়াত সমস্যা কাটাতে কমপক্ষে চারটি নৌকা কিনেছেন বলে জানা গেছে।

শীত ও বসন্ত ছাড়া প্রায় পুরো বছরই জোয়ারের পানিতে আগ্রাবাদ এলাকা সয়লাব। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে এ জলাবদ্ধতা আরও বেড়েছে।

চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪ কার্যালয় সূত্র জানায়, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার ১ নম্বর সড়কের ছয়তলা ভবনে ১৭টি এবং একই সড়কের হাতেখড়ি স্কুলের বিপরীতে ১৬তলা ভবনে ৫৭টি অঞ্চলভিত্তিক কর কার্যালয় রয়েছে। দুই ভবনে প্রায় সাড়ে ৪০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪–এর কর কমিশনার আহমদ উল্লাহ এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে অফিসে উপস্থিত থাকতে হয়। আমাদের জন্য সরকারি গাড়িও আছে। কিন্তু বৃষ্টি ও জোয়ারে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে অফিসে যাতায়াতের সড়কটি দেড় থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ জন্য ১১ জুলাই ২৬ হাজার টাকা দিয়ে আমরা একটি নৌকা কিনেছি।’

আহমদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘নৌকাটিতে একসঙ্গে তিন-চারজন যাতায়াত করতে পারে। নৌকা কেনার কারণে আমাদের যাতায়াতে সমস্যা কিছুটা কেটে গেছে। চট্টগ্রাম কর অঞ্চলের একজন দারোয়ান দাঁড় বেয়ে নৌকাটি চালিয়ে নিয়ে যান।’

নগরের আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকার বিভিন্ন বাড়ির নিচতলায় এখন তিন থেকে পৌনে পাঁচ ফুট পানি। সেখানকার বাসিন্দাদের এখন প্রধান বাহন নৌকা ও রিকশা। তিন-চারটি নৌকা দিয়ে এলাকার মানুষ কর্মস্থলে যাওয়া আসা করছেন।

আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২২ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির বাসিন্দা সৈয়দ মো. ইয়াসিন হীরা প্রথম আলোকে আজ বিকেলে বলেন, ‘আজ দুপুরে (সোমবার) আমার বাড়ির নিচতলা প্রায় পৌনে পাঁচ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে। আমার ব্যক্তিগত গাড়িটি গ্যারেজের ভেতরে পানিতে পুরো ডুবে আছে। চিকিৎসক স্ত্রী হাসপাতালে যেতে পারেনি।’

সৈয়দ মো. ইয়াসিন আরও বলেন, ‘যাতায়াত সমস্যা দূর করতে সীতাকুণ্ড থেকে একটি নৌকা কেনার কথাবার্তা চলছে। তবে আমাদের সিডিএ এলাকার বাসিন্দারা চারটি নৌকা ইতিমধ্যে কিনেছে।’

আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও অমাবস্যার কারণে জোয়ারের পানি বেড়ে গেছে। এতে আমাদের এলাকায় পানি থইথই করছে। নিচতলার বাসাগুলো ডুবে গেছে। বাসা থেকে বাদামতলী মোড় পর্যন্ত আসা যাওয়া করতে রিকশা ভাড়া গুনতে হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

সূত্র: প্রথম আলো

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
20G