WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_1df056_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]SELECT COLUMN_NAME FROM INFORMATION_SCHEMA.COLUMNS
WHERE table_name = 'sdsaw42_hsa_plugin' AND column_name = 'hsa_options'
WordPress database error: [Duplicate column name 'hsa_options']ALTER TABLE sdsaw42_hsa_plugin ADD hsa_options VARCHAR(2000) NOT NULL DEFAULT ''
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বাংলাদেশের খ্যাতনামা গায়িকা রুনা লায়লার আজ জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে প্রখ্যাত এই গায়িকা রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সঙ্গীতের জন্য খ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাঁর সুনাম আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। পাকিস্তানে তাঁর গান ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ব্যক্তিগত জীবনে রুনা লায়লা বাংলাদেশী চিত্রনায়ক আলমগীরের সাথে বিবাহিত।
তিনি জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী। তার পৈত্রিক বাড়ি রাজশাহীতে। পিতা মোহাম্মদ ইমদাদ আলী, মাতা আমিনা লায়লা। বোন দীনা লায়লা ও ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ। দীনা লায়লা গান শিখতেন। রুনা লায়লার ও গানের প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। তবে গানের চেয়ে তার আগ্রহ ছিল নাচের প্রতি। ফলে ছোটবেলায় শিখেছেন কত্থক, ভরতনাট্যম ও কথাকলি নাচ। মাত্র ১২ বছর বয়সে উর্দু ‘জগনু’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন এই শিল্পী।
রুনা লায়লা ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক আলমগীরের বিপরীতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘শিল্পী’ চলচ্চিত্রটি ইংরেজি চলচ্চিত্র ‘The Bodyguard’ -এর ছায়া অবলম্বনে চিত্রিত হয়েছে।
কিংবদন্তি এই শিল্পী প্রায় ১৭টি ভাষায় গান গাইতে পারেন। তার বিখ্যাত গানের তালিকায় আছে- ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শুনাবো’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘মেরা বাবু ছল ছাবিলা’, ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ‘আমি নদীর মতো কতো পথ ঘুরে’, ‘কার তরে নিশি জাগো রাই’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ এবং ‘যখন থামবে কোলাহল’। নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইতে পাকিস্তানের সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান তিনি। ১৯৮৩ সালে রিলিজ হওয়া অ্যালবাম ‘সুপার রুনা’ প্রথম দিনেই ১ লাখ কপি বিক্রি হয়, ফলে এইচএমভি কর্তৃক উপহার পান গোল্ড ডিস্ক।
রুনা লায়লা দেশি এবং বিদেশি অনেক পুরস্কারই অর্জন করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৪ বার), ভারতের সায়গল পুরস্কার, পাকিস্তানের নিগার পুরস্কার (২ বার), ক্রিটিক্স পুরস্কার, গ্র্যাজুয়েট পুরস্কার (২ বার), জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি