তিস্তা চুক্তি: বাংলাদেশকে হেল্প করব, তবে রাজ্যকে বাঁচিয়ে

প্রকাশঃ মার্চ ২৪, ২০১৭ সময়ঃ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

তিস্তা চুক্তি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কিছুই জানাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করে মমতা বলেন, “তোমরা যদি সবকিছু রেডি করে আমাকে বলো স্ট্যাম্প মারার জন্য, স্যরি! আমাকে রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। বাংলাদেশকে যতটা হেল্প করার আমি করব, তবে রাজ্যকে বাঁচিয়ে।”

বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দ টেলিভিশনে ‘মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী’ অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, “আমি তো শুনছি ২৫ মে নাকি বাংলাদেশে গিয়ে তিস্তা চুক্তি হবে। অথচ আমি এখনো কিচ্ছু জানি না।”

তবে এ ধরনের যে কোনো চুক্তির আগে রাজ্যের স্বার্থকে বিবেচনায় নিতে হবে মন্তব্য করেন তৃণমূলপ্রধান মমতা। তিনি বলেন, “যখন আপনার এখানে স্টুডিওতে বসে আছি, আই ডু নট নো এ বি সি ডি অর ওয়ান টু থ্রি ফোর অর অ আ ক খ। আই ডোন্ট নো এনিথিং।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ এপ্রিল ভারত সফরে যাচ্ছেন। তার এই সফরে ভারতের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হওয়ার কথা থাকলেও কয়েকদিন আগে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, এই সফরে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা অনিশ্চিত।

মমতা বন্দোপাধ্যায়ে যে ইঙ্গিত মিলছে, তাতে শেখ হাসিনার ভারত সফরে চুক্তি না হলেও তিস্তা নিয়ে ফয়সালা চূড়ান্ত হতে পারে। পরে ঐ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

“ওরা (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) আমাদের না জানিয়ে ইচ্ছে মতো করে। রাজ্যকে একবার জানাবার প্রয়োজনও বোধ করে না। কাজেই আমার সাথে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। না জেনে এ নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না।”

শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘সুসম্পর্কের’ কথা তুলে ধরে মমতা অনুষ্ঠানে বলেন, ৬৬ বছর পরে হলেও দুই দেশ মিলে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

“শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো। পার্সোনাল সম্পর্ক ভালো, রাজনৈতিক সম্পর্কও বেশ ভালো। যদি ভালো না হতো তাহলে ছিটমহলটা আমরা করে দিলাম, ৬৬ বছরে যেটা হয়নি?

“কিন্তু সব তো আর পাওয়া যায় না। যেখানে রাজ্যের স্বার্থ জড়িত আছে, সেখানে রাজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেখানে আমি পারব এবং সেটা দুই দেশেরই ভালো হবে, সেটা আমি করে দেব,” বলেন তিনি।

২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে সেবার তা আটকে যায়।

এরপর ভারতে ক্ষমতার পালাবদলের পর বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২০১৫ সালে ঢাকা সফরে এলেও সেই জট খোলেনি। আশ্বাস দিয়েই বিদায় নিয়েছিলেন তিনি।

তিস্তা চুক্তি না হওয়ার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের আপত্তিকে বাধা হিসেবে দেখিয়ে আসছে। এনিয়ে বিজেপিবিরোধী নেত্রী মমতার সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনাই ফলপ্রসূ হয়নি।

এবারের সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতাকে একসঙ্গে বসানোর পরিকল্পনা চলছে বলে নয়া দিল্লির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দিক থেকে এখনও বিষয়টি স্পষ্ট করা হযনি।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G